এবার মূল্যস্ফীতির চাপ সামাল দিতে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ানো হচ্ছে। এ বিষয়ে আগামী অর্থবছরের বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী ঘোষণা দিতে পারেন। তবে কোন প্রক্রিয়ায় বেতন বাড়বে, তা নির্ধারণের কাজ শুরু হবে বাজেট ঘোষণার পর। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, জীবনযাত্রার ব্যয় সমন্বয়ে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের কর্মীদের জন্যেও বাজেটে দিক নির্দেশনা থাকা উচিৎ।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধসহ করোনার প্রভাবে বিশ্বব্যাপী চলছে অর্থনৈতিক মন্দা। ফলে মূল্যস্ফীতির চাপে পড়েছেন সরকারি চাকরিজীবীসহ দেশের বিভিন্ন পেশার মানুষ। অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মূল বেতনের ৫ শতাংশ বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট থাকলেও পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ছাড়িয়ে গেছে ৯ শতাংশ।
আর গড় মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের কিছুটা কম। এ চাপ বিবেচনা করে ইনক্রিমেন্টের হার বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। আর গত মে-এপ্রিল ১২ মাসের গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৮.৬৪ শতাংশ। তবে সরকারি হিসাবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের আগে গড় মূল্যস্ফীতির হার ৫ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, এ অবস্থায় সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন পে স্কেলের দাবি ওঠে। তবে শেষ পর্যন্ত মহার্ঘ্য ভাতা না দিয়ে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে বেতন সমন্বয়ের কথা ভাবছে সরকার। আগামী অর্থবছরের জন্য বার্ষিক মূল্যস্ফীতি ধরা হচ্ছে সাড়ে ৬ শতাংশ। তাই এটিই হতে পারে বেতন বৃদ্ধির একটি ভিত্তি।
এদিকে অর্থ বিভাগের তথ্য বলছে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের আওতায় সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যা ১২ লাখ ৪৬ হাজার। তাই ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টসহ বেতন-ভাতা বাবদ আগামী অর্থবছরের বাজেটে প্রাক্কলিত বরাদ্দ হতে পারে ৭৭ হাজার কোটি টাকা।
সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ করে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে জারি হতে পারে গেজেট। তবে যখনই বেতন বৃদ্ধির গেজেট জারি হোক না কেন, তা ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। তবে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে মিল রেখে বেতন বাড়ানো হলে আগামী অর্থবছর এ খাতে বরাদ্দ বাড়তে পারে কয়েক হাজার কোটি টাকা।